Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫

এক নজরে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড

প্রায় হারিয়ে যাওয়া রাবার চাষকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার বিগত ৫ মে ২০১৩ খ্রি তারিখে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড আইন ২০১৩ (২০১৩ সালের ১৯ নম্বর আইন) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ রাবার বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সাথে রাবার বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। ৩০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ  হতে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে এর কার্যক্রম শুরু করে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম রাবার বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর গত ৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে  নিয়মিত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী যোগদান করেন এবং ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ হতে জনাব সৈয়দা সারওয়ার জাহান (অতিরিক্ত সচিব) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব জনাব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বোর্ডের সচিব হিসেবে ৬ মার্চ ২০১৯ হতে ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। অর্গানোগ্রামে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের ৭০ টি পদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৯ জন কর্মকর্তা একজন চেয়ারম্যান, একজন পরিচালক, পাঁচ জন উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। অবশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট, ষোলশহর, চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসের ভাড়া করা তিনটি বাড়িতে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড এর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের অন্যতম কাজ হলো রাবার চাষ ও রাবার শিল্পের সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ , উৎপাদিত রাবার বিপণন ও রপ্তানীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান,  রাবার চাষে আগ্রহী উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাছাই এবং তাদের অনুকুলে জমি ইজারা প্রদানের নিমিত্ত সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ, ইজারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান, রাবার বাগানের মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীবনচক্র হারানো রাবার কাঠ আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে সহায়তা প্রদান, ক্ষতিকারক কৃত্রিম রাবার সমাগ্রীর উৎপাদন, আমাদানী, বিপণন ও ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান প্রভৃতি।

অন্যান্য রাবার উৎপাদনশীল দেশের সাথে সহযোগিতা জোরদার করা এবং এদেশে টেকসই প্রাকৃতিক রাবার শিল্পে অবদান রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অক্টোবর ২০১৭ থেকে Association of Natural Rubber Producing Countries (ANRPC) এর সদস্য হিসেবে যোগদান করে। বাংলাদেশ রাবার উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য International Rubber Research And Development Board (IRRDB) এরও সদস্য পদ লাভ করে।